বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ড. কামালকে দেখতে চান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস। এই লক্ষ্যেই ভারতের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের কাছে তিনি তদবির শুরু করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সোশ্যাল বিজনেস ডে উপলক্ষে গত ২৮-২৯ জুন দুই দিনব্যাপী ভারতের বেঙ্গালুরুতে সোশ্যাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হয়। ইউনূস সেন্টার ও ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস ইন্ডিয়ার যৌথ আয়োজনে এই সম্মেলনে ৪২ টি দেশের ১২০০ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সোশ্যাল বিজনেস সামিট শেষে গত ৩০ জুন দিল্লিতে যান ড. ইউনূস। সেখানে তিনি ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারতের অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন ড. ইউনূস। ড. ইউনূস তাঁদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি তৃতীয় শক্তি আসলে দেশের উন্নতি হবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হৃদ্যতাপূর্ণ ও আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
ড. ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী মনোভাব তীব্র হবে, যা ভারতের জন্যই খারাপ। বিএনপির ব্যাপারে কোনো অনিচ্ছা থাকলে তৃতীয় শক্তিকে আনতে পারেন তারা। আর সেক্ষেত্রে ড. কামাল হোসেন তাঁদের পছন্দের। সব দল যদি ড. কামালকে স্বীকৃতি দেয় এবং ভারত যদি এ ব্যাপারে সমর্থন দেয় তাহলে কামালই হতে পারেন বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। আর এক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কও আরও নিবিড় হবে।
ড. ইউনূসের প্রস্তাবে স্পষ্ট কিছু জানায়নি ভারত। তবে বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছে বলে জানা গেছে।